সাফ চ্যাম্পিয়ন:  সাবিনা-মাসুরার জেলায়  আনন্দের 'বন্যা'

সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশীফে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আনন্দের বন্যা বইছে সাবিনা-মাসুরার জেলা সাতক্ষীরায়। শহরে ও সবুজবাগে সাবিনাদের বাড়িতে বিকেল থেকে খেলা দেখেছেন সবাই। ফাইনালে গোল না পেলেও টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার গৌরবে গৌরান্বিত সাবিনার পরিবারসহ ফুটবলের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাই।

সাফ চ্যাম্পিয়ন:  সাবিনা-মাসুরার জেলায়  আনন্দের 'বন্যা'

সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশীফে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আনন্দের বন্যা বইছে সাবিনা-মাসুরার জেলা সাতক্ষীরায়। শহরে ও সবুজবাগে সাবিনাদের বাড়িতে বিকেল থেকে খেলা দেখেছেন সবাই। ফাইনালে গোল না পেলেও টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার গৌরবে গৌরান্বিত সাবিনার পরিবারসহ ফুটবলের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাই।

সাবিনার মা মতাজ বেগম বলেন, ‘মেয়েদের সাফল্যে আমি খুবই উচ্ছ্বসিত। মেয়েটার ধ্যান-জ্ঞান ফুটবলকে নিয়ে। ৮ গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ায় অপরিসীম আনন্দিত আমি।’ 

সাবিনার বড় বোন সালমা খাতুন বলেন, ‘সারাদিন অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলাম  জয়ের খবর কখন আসবে। অবশেষে সন্ধ্যার পরপরই টিভির পর্দায় যখন ভেসে আসল, বাংলাদেশ ৩-১ গোলে জয়ী। তখন মনে হয়েছিল, স্বপ্ন সার্থক হয়েছে আমার বোনটার।’

সাতক্ষীরা সদরের বিনেরপোতায় নারী ফুটবল দলের আরেক সদস্য মাসুরাদের বাড়িতেও চলছে জয়ের উৎসব। বাবা রজব আলী মাসুরাকে খেলতে দিতে চাইতেন না। কিন্তু স্থানীয় কোচ আকবার আলী ও মা ফাতেমা খাতুনের উৎসাহে নারী দলে শক্ত জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।  মাসুরার মা ফাতেমা খাতুন বলেন, ‘আমরা গরীব মানুষ। ছোটবেলা থেকে মাসুরার খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ দেখে আমি তাকে খেলা চালিয়ে যেতে বলেছিলাম।’

‘কোচ আকবার আলীর কারণেই আমার মেয়ে এ পর্যন্ত এসেছে। কিন্তু; দূর্ভাগ্য হলো, এতবড় জয় তিনি দেখে যেতে পারলেন না। ২ বছর আগে তিনি মারা গেছেন।’ বলেও জানান তিনি। 

সাতক্ষীরা ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘নারী ফুটবল দল সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় গর্ব অনুভব করছি। সাবিনা ও মাসুরার মত খেলোয়াড়রা সাতক্ষীরার মাটি থেকে আজ জাতীয় দলে শক্ত জায়গা করে নিয়েছে। তাদের এ সফলতার ধারা অব্যাহত থাকুক।’

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা সাফ গেমসে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তারা স্বাগতিক নেপালকে  ৩-১ গোলে পরাজিত করে।